জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম বলেছেন, গত ১৭ বছরে সোনারগাঁও মাফিয়াদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর ক্যাডাররা এখানকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের শোষণ করেছে, উন্নয়নের নামে হয়েছে লুটপাট।
গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ‘বিচার, সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে’ আয়োজিত জুলাই পদযাত্রা ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘সোনারগাঁওয়ের মানুষ একসময় মানবেতর জীবনযাপন করতেন। আমরা মুজিববাদী ক্যাডার শাসনের অবসান চাই। আর কোনো লুটেরা-সন্ত্রাসীর সংসদে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না। আমরা তরুণদের নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’’
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি ভয়-হুমকিকে পাত্তা দেয় না। হামলা-মামলা করে এই তরুণ প্রজন্মকে দমন করা যাবে না। জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা এই অঞ্চল থেকে মাফিয়াতন্ত্রের চূড়ান্ত বিদায় নিশ্চিত করব।”
পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল বলেন, ‘‘গত বছরের জুলাইয়ের ১৭ তারিখে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে ছাত্র আন্দোলন দমন করতে চেয়েছিল সরকার, কিন্তু সফল হয়নি। ১৮ জুলাই দেশের ছাত্রসমাজ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। সেই দিন থেকেই শুরু হয় গণজাগরণ। সোনারগাঁও ছিল মাফিয়া ও গডফাদারদের দখলে, এখন সময় এসেছে সেই চক্রকে চিরতরে বিদায় জানানোর।’’
তিনি সোনারগাঁওবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনারা কি চান আবার সেই গডফাদারদের হাতে সোনারগাঁও তুলে দিতে? সময় এসেছে পরিবর্তনের। যোগ্য তরুণদের নেতৃত্বে আনুন।’’
সভায় স্থানীয়ভাবে তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে নাহিদ ইসলাম, সার্জিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর নাম উঠে আসেে।