নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, “যারা আজ থানা বিএনপি কমিটি ভাঙার চিন্তা করছে, তারা কোথায় ছিল ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে?” তিনি দাবি করেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ সেই সময় থেকে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি, এমনকি তা প্রমাণের মতো একটি ফুটেজও দেখাতে পারবেন না।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভাটি থানা কমিটির বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজন করা হয়।
মাজেদুল ইসলাম বলেন, “আমরা থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে চিটাগাংরোড, সাইনবোর্ড, কাঁচপুর, ডেমরা পর্যন্ত স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। কিন্তু তখন অনেক নেতাকে পাশে পাইনি। আজ তারা নেতৃত্বের স্বপ্ন দেখেন।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই কমিটি ভাঙার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা রাজপথে ছিলাম, মামলা-জেল-ত্যাগ স্বীকার করেছি, বিএনপির জন্য লড়েছি। ইনশাআল্লাহ আগামীতেও এই কমিটিই থাকবে।”
সভায় তিনি ঘোষণা দেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থানা বিএনপির সহ-সভাপতি জি.এম. সাদরিলকে সমর্থন জানানো হচ্ছে।
সভাটি পরিচালনা করেন থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ. হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, ডি.এইচ. বাবুল, জি.এম. সাদরিল, রওশন আলী, অ্যাড. মাসুদুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, কামরুল হাসান শরীফ, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ মাসুদ করিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।