পাখিদের খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে জামগাছ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম। পাশাপাশি পুরনো গাছের ডালে পাখিদের জন্য বাসা নির্মাণ প্রকল্পও হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
‘গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের লেকপার্ক এলাকায় চার কিলোমিটারজুড়ে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। তিনি জানান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সংলগ্ন পুরাতন গাছে প্রথম পর্যায়ে পাখির বাসা স্থাপন করা হবে, পরবর্তীতে এটি জেলার অন্যান্য এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে।
এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নারায়ণগঞ্জ ইউনিট। রবিবার অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, “১০ মে থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত জেলায় এক লক্ষ গাছ রোপণ করা হয়েছে। নদী ও খালের পাড়ে ডাব গাছ লাগানো হয়েছে, আবার হাসপাতাল এলাকায় রোগীদের কথা বিবেচনায় নিয়েও একই গাছ লাগানো হয়েছে। পর্যটন এলাকায় কৃষ্ণচূড়া ও কদম গাছ বেছে নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পিত সবুজায়নের মাধ্যমে বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন অঞ্চল গড়ে তুলতে কাজ চলছে। বিশেষ করে নিম, জাম, কদম ও কৃষ্ণচূড়া গাছ ভবিষ্যতে জেলাকে আরো সবুজ ও মনোরম পরিবেশে রূপান্তর করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জেলার সবুজায়ন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “নারায়ণগঞ্জকে একটি বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই কার্যক্রম থেমে থাকবে না।” তিনি রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকদের একসঙ্গে ৮০০ গাছ রোপণের প্রশংসা করেন এবং আগেই রোপিত ১ লক্ষ গাছের মাইলফলক অর্জনে সবার অবদানের প্রশংসা জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ), রেড ক্রিসেন্টের জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের ম্যানেজার, জেলা ইউনিটের ফোকাল পারসন এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।