নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। বুধবার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সংযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দুটি স্থানে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সরকারি তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, অভিযানে অবৈধভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
প্রথম অভিযানটি চালানো হয় বন্দর থানার কলাবাড়ীর দেওয়ানবাগ এলাকায়, যেখানে একটি অবৈধ চুন কারখানায় প্রায় ২০০০ সিএফটি লোডের গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছিল। পরিবেশ ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ ফুট ২ ইঞ্চি পানির হোস পাইপ, ১০ ফুট ১.৫ ইঞ্চি এমএস পাইপ, ৪টি বার্নার এবং ৩টি বেলচা অপসারণ ও জব্দ করা হয়।
কারখানার মালিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জরিমানা বা সাজা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মৌখিক নির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক লিগ্যাল বিভাগ থানায় এফআইআর দায়ের করে। কারখানার সম্পূর্ণ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মজুদকৃত চুন ভিজিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়। সংযোগের মূল উৎসও ‘কিলিং’ করে ধ্বংস করা হয় যাতে ভবিষ্যতে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করা না যায়।
দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয় মালিবাগ এলাকায়, ক্যাসেল রিসোর্টের পাশের স্থানে। এখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিচ দিয়ে অবৈধভাবে একটি ২ ইঞ্চি পাইপলাইন স্থাপন করে ৪ ইঞ্চি ১৫০ পিএসআইজি হাইপ্রেশার লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রায় ৩০০ চুলায় গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিল, যা বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছিল।
অভিযানে প্রায় ৭০ ফুট ২ ইঞ্চি এমএস পাইপ অপসারণ ও জব্দ করা হয় এবং এই সংযোগের মূল উৎসও ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও নিয়মিত চালানো হবে এবং অবৈধ সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।